কনক বড়ুয়া, উখিয়া (কক্সবাজার) :
“পূজনীয় কে পূজা কর, স্মরণীয় কে স্মরণ কর” পূণ্যবাক্যকে সামনে রেখে যথাযোগ্য বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হল ঐতিহাসিক রামু রাংকুট বনাশ্রম মহাতীর্থ মহাবিহারের পরিচালক ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশের দক্ষিনের এক আলোকিত ধর্মীয় গুরু ভদন্ত কে শ্রী জ্যোতিসেন থের’র ৩৫তম শুভ জন্ম দিবস। ২০ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে অনুষ্টান সম্পন্ন হয়।
জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় মুক্ত আকাশে কবুতর উড়িয়ে ও পূজনীয় ভান্তেকে দূর প্রান্ত থেকে আগত পূণ্যার্থীর পুস্তবক অর্পন, মঙ্গলাচারন, ধর্মীয় সংগীত ও বিভিন্ন বক্তার শুভেচ্ছা বানীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই জন্মদিবস অনুষ্টান। এর মাঝে ভান্তের জীবন বৃত্তান্ত আগত পূজার্থীর উদ্দেশ্যে সৌন্দর্যের সাথে তুলে ধরেন শ্রীমৎ তাপসসেন ভিক্ষু।
এসময় ভান্তে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় বই ‘বুদ্ধং বন্দামি’- BUDDHAN WANDAMI ও একটি ধর্মীয় পত্রিকা ‘ত্রৈমাসিক জগৎ জ্যোতি’র মোড়ক উন্মোচন, তিনজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মুসলিম মহিলা ও বড়ুয়া অসহায়দের আর্থিক সহায়তা প্রদান, জগৎ জ্যোতি শিশু সদনের শিক্ষার্থীদের খাতা-কলম প্রদান ও অতিথি আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন মাঙ্গলিক কর্মসূচী সুশৃঙ্খলার সাথে পালন করেন।
কে শ্রী জ্যোতিসেন ভান্তে মহোদয় নিজ জন্মদিন উৎসবের ধর্মীয় দেশনায় জগতে পাঁচ জনকে পূজা করার কথা বলেন। তারা হলেন বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘ, আচারীয় গুরু ও মাতা-পিতা। এদের কে পূজা করলে ভবিষ্যত জীবন উজ্জলময় হয়। সুফল অর্জন করা যায়। ভান্তে আরো বলেন জন্মদিন উৎসব সবাই পালন করতে পারে না। জন্মদিন উৎসব পালন করতে পারমী থাকা দরকার। তদ্রুপ ভান্তেও বাংলাদেশের তিনজন ধর্মীয় গুরুর আজীবন পাদ জুতা দান করার ফাং করেন। সেই ধর্মীয় গুরুরা হলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ, উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের, জ্যোতিসেন ভান্তের পরম গুরু কুশলায়ন ভান্তে। এ তিনজনের আজীবন পাদ জুতার দানকারী বলে জানান।
এসময় বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত পূজার্থীরা ভিড় জমায় বিশ্ব ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম মহাতীর্থ মহাবিহারে।